আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদেশের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে দ্বিতীয়বারের মতো ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবে খালাস পেয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সিনেটে রিপাবলিকান দলীয় সিনেটরদের ‘দলকানা’ ভোটে দ্বিতীয়বারের মতো খালাস পেলেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পার্সটুডে।

ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্টের উদ্দেশ্যে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫৭ জন সিনেটর এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩ জন।

গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব তুলেছিলেন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা। শনিবারের ভোটে তাদের সঙ্গে ৭ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাও ট্রাম্পকে ইমপিচ করার পক্ষে ভোট দেন।

ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের সহিংস হামলায় অন্তত ছয় ব্যক্তি নিহত হয় যা আমেরিকার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা
তবে মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা গেলেও সিনেটে ইমপিচ করার জন্য জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের (নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা) প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে ১০০ আসনবিশিষ্ট সিনেটে ট্রাম্পকে ইমপিচ করার জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭ ভোট। কিন্তু প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৫৭টি।

ক্যাপিটল হিলে সহিংস হামলায় উসকানি দেয়ার পেছনে ট্রাম্পের সরাসরি হাত থাকার বিষয়টি সবার সমানে স্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও রিপাবলিকান দলীয় সিনেটররা রাজনৈতিক কারণে ট্রাম্পকে বাঁচিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যে কারণে ইমপিচমেন্টের শিকার হলেন না ট্রাম্প।এর ফলে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার প্রার্থী হওয়ার এবং আরেকবার নির্বাচিত হয়ে আমেরিকায় আবার বিভাজন ও ঘৃণার রাজনীতি উসকে দেয়ার পথ ট্রাম্পের জন্য উন্মুক্ত করে রাখলেন রিপাবলিকান সিনেটররা।