বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ১৯৯৩ সালের পুরোনো অবতারে ধরা দেন তাহলে কেমন হবে? হ্যাঁ, নতুন প্রজন্মের শাহরুখ ভক্তরা নতুন করে চিনবেন বাদশাহকে। দুই প্রজন্মকে এককাতারে নেওয়ার উদ্যোগ।

সুতরাং ‘বাজিগর’ ছবিটির সিক্যুয়াল আসছে। যেহেতু ‘বাজিগর’ বদলে দিয়েছিল বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ভাগ্য। তাই সেই সাফল্যের হাত ধরে এবার নির্মিত হচ্ছে ‘বাজিগর ২’। স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। বরাবরের মতোই এবারও সিক্যুয়েলে থাকছেন বাদশাহ।

‘বাজিগর ও বাজিগর/ তু হ্যায় বড়া জাদুগর’ কিংবা ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে…’ আজও নব্বই দশকের নস্টালজিয়া। পোস্টারে দুই বাহুতে দুই নায়িকা শিল্পা শেঠি ও কাজল, মাঝখানে শাহরুখ খান। তখনো তিনি ‘এসআরকে’ নামে খ্যাত নন। কিন্তু এই একটি ছবিই ভাগ্য বদলে দিয়েছিল শাহরুখের জীবনে। ছবিতে নায়ক ও খলনায়ক— দুটোই তিনি ছিলেন।

‘বাজিগর ২’ তৈরি হলে নিঃসন্দেহে এ ছবির হাত ধরে দুই প্রজন্ম বাঁধা পড়বে। আর সেই ঘটনাই নাকি ঘটাতে চলেছেন প্রযোজক রতন জৈন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শাহরুখ খানের কানে ইতোমধ্যে তিনি বিষয়টি তুলে দিয়েছেন। এবং প্রযোজক-অভিনেতা যে একেবারে রাজি নন, এমনটিও নয়। তিনি বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়েই শুনেছেন। আলোচনা হচ্ছে— অভিনেতা-প্রযোজকের মধ্যে। ছবিটি যে হবেই, সে বিষয়ে রতন আশ্বস্ত করেছেন সাংবাদিকদের।

পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন তিনি, পুরোটাই নির্ভর করছে কিং খানের ওপরে। নায়কের ভূমিকায় একমাত্র শাহরুখ রাজি হলে তবেই তিনি ‘বাজিগর ২’ বানাবেন।

এদিকে নায়ক যদি না বদলায়, নায়িকারাও কি এক থাকবেন? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন রেখেছিলেন প্রযোজকের কাছে। তিনি এখনই পুরোটা ভাঙতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত চিত্রনাট্য লেখার কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। পরিচালক এই প্রজন্মের কেউ হবেন। বাকিটা শাহরুখের ওপরে নির্ভর করছে।

‘বাদশাহ’ খানের হাতে এ মুহূর্তে কটি ছবি? সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আপাতত শুটিং থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন তিনি। মন দিয়েছেন বড় ছেলে আরিয়ান খানের প্রথম হিন্দি সিরিজে। ছেলের পরিচালনায় সেখানে দেখা যেতে পারে তাকে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তিনি ‘কিং’-এর শুটিং শুরু করবেন। এ ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় তার মেয়ে সুহানা খান। যৌথ পরিচালনায় আছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ ও সুজয় ঘোষ।