যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। যা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ কোটিরও বেশি ভোটার রয়েছে। যারা নির্ধারণ করবেন কে হবেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এরই মধ্যে চূড়ান্ত ভোটের দিনের আগে প্রায় ৮ কোটি মার্কিনী নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়েছেন।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবারের নির্বাচন যেন ভোটের লড়াই নয়, স্নায়ুযুদ্ধ। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মার্কিন রাজনীতিতে খুব কমই হয়েছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের শেষ দিনেও দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই প্রার্থী।
এবারের মার্কিন নির্বাচনে প্রাধান্য পাচ্ছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, গর্ভপাত, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অভিবাসন এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরাইল বাহিনীর আগ্রাসন।
ভোট ফেরত জরিপ বলছে, আগাম ভোটে পুরুষের তুলনায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ নারী ভোটার বেশি ভোট দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত ইস্যুতে নারীর সিদ্ধান্তের পক্ষে ডেমোক্র্যাটদের অবস্থান। আর রিপাবলিকানরা সবসময় গর্ভপাতের বিরোধিতা করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নারী অধিকার কর্মী ডা. ফাতেমা আহমেদ বলেন, ‘এবার যদি আমরা ঠিক মানুষকে ভোট না দেই তাহলে গর্ভপাত আইন থেকে শুরু করে নারীদের যে একটা ভয়েস আছে সেগুলো চলে যাবে।’