বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি জনগণের দিকে গুলি ছুড়েছিল, সেই দল জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নাই। তাদের নাম আর বাংলাদেশের জনগণ শুনতে চায় না।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া শহরে আলতাফুন নেছা খেলার মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান।

জামায়াতের আমির বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বেশি বেশি করে বলতেন আর ফেরি করতেন, তারাই এ দেশের যুবকদের জীবন্ত শহীদে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ যাদের গুলির পরোয়া করেনি, সেই দুর্ধর্ষ খুনিদের এদেশের মাটিতে মানুষ আর প্রকাশ্যে হাটতে দিবে না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে আমাদের দুজন আমিরসহ ১২ জন শীর্ষ নেতাকে শহীদ করেছে। অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে আমাদের দলের নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নিয়েছে। বুলডোজার দিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। গুম-খুন হামলা-মামলায় ঘরবাড়িছাড়া করেছে। পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ও আয়নাঘরে বন্দি করেছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের নিষিদ্ধ করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জুলুম-অত্যাচারের সীমা লঙ্ঘন করতে গিয়ে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে অসহায় কর্মী-সমর্থকদের বিপদে ফেলে ক্ষমতা ও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ ফ্যাসিবাদের দোসর পলাতক বাহিনী যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের ধরে এনে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে বাংলার মাটিতে আর কোনোদিন কোনও ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়।

জামায়াতের শহর শাখার আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেকের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী।