প্রবল বৃষ্টিতে আবার বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা ও ধরলার পানি । এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে কুড়িগ্রাম, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকায় । সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু এলাকা। স্থিতিশীল রয়েছে পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি । অপরিবর্তিত রয়েছে মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি।

কিছুটা উন্নতির আশা জাগলেও একটানা প্রবল বৃষ্টিতে ফের বেড়েছে উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ। তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম।

রংপুর শহরের ৮টি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে নগরবাসী। সদরসহ চার উপজেলায় পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ।

মধ্যাঞ্চলে অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রাজবাড়ীর বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পদ্মার তীব্র স্রোতে নৌরুটে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল।

ফরিদপুর সদরের সাথে চরভদ্রাসন ও সদরপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে আলফাডাঙ্গা ও মধুখালীর কয়েকটি ইউনিয়নে।

নতুন করে প্লাবিত হয়েছে শরীয়তপুর সদর, নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ।
ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে আবারো বেড়েছে সুরমার পানি। জেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় ফের বন্যার আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।

বৃষ্টিতে দৌলতপুর, ঘিওর, শিবালয়সহ মানিকগঞ্জের সাত উপজেলায় বন্যার কিছুটা অবনতি হয়েছে। ভোগান্তি বেড়েছে বানভাসিদের।

শেরপুরে বেড়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। বৃষ্টিতে পানি বাড়লেও টাঙ্গাইল, জামালপুর ও নেত্রকোণায় বন্যাকবলিত এলাকার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।