চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার নিশ্চিতে রাষ্ট্র সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ আমাদের ভাই। বাংলাদেশের ৭০ হাজার আইনজীবী পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সেই পরিবারের সদস্যকে হারিয়ে অত্যন্ত শোকাহত, মর্মাহত। আমরা তার হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত বিচার করবই।
বুধবার দুপুরে আলিফের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা গ্রামে তার কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এদিকে, চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের ঘটনায় কোতোয়ালি থানার দুই মামলায় গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- জয় নাথ, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, সুমিত দাস, আমান দাস, বিশাল দাস, সনু মেথর, সুমন দাস, রাজেশ দাস, দুর্লভ দাস ও অজয় সূত্রধর চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ঘটনার সাত দিন পর বুধবার নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জহুর লাল হাজারী, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, নগর যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক জিনাত সুহানা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সমীর কুমার দে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন কান্তি নাথ, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত আহমেদ ও কাজী তানভীর প্রমুখ।
এ নিয়ে আদালতের ওই ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। এর আগে, হত্যা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ পাঁচটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি, হত্যার শিকার আইনজীবী আলিফের বাবা ও ভাই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।