ডিজিটাল যুগে এখন হোয়াটসঅ্যাপ কেবল চ্যাটিং বা ভিডিও কলের মাধ্যম নয়, এটি হয়ে উঠেছে উপার্জনের এক সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্ম। সামান্য দক্ষতা ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলেই যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

ভক্তাদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ এক অনন্য সুযোগ। হাতে তৈরি পণ্য, কাপড়, জুয়েলারি, খাবার বা গৃহসজ্জার সামগ্রী বিক্রির জন্য সহজেই প্রোডাক্ট ক্যাটালগ তৈরি করে সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়। গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ, অর্ডার নেওয়া ও পেমেন্ট লিংক পাঠানো সবকিছুই করা সম্ভব এক অ্যাপেই। ভালো মানের পণ্য ও দ্রুত সেবা প্রদান করলে মাসে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।

২. লিঙ্ক শেয়ার করে উপার্জন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এখন জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন, মিশোসহ বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের পণ্যের লিঙ্ক তৈরি করে তা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বা ব্রডকাস্ট লিস্টে শেয়ার করা যায়। সেই লিঙ্ক থেকে কেউ পণ্য কিনলেই নির্দিষ্ট কমিশন পাওয়া যায়। বড় নেটওয়ার্ক বা বিশ্বস্ত অনুসারী থাকলে এটি হতে পারে চমৎকার আয়মুখী পথ।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং

নতুন স্টার্টআপ বা ছোট ব্যবসাগুলো তাদের পণ্য প্রচারের জন্য দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার খোঁজ করে। যদি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও কমিউনিটি ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞতা থাকে, তবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল কনটেন্ট শেয়ার করে উপার্জনের সুযোগ পাওয়া যায়। বাড়তি কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই শুধু মোবাইল ও নেটওয়ার্ক দিয়েই আয় সম্ভব।

৪. চ্যানেল খুলে নিজের ব্র্যান্ড গড়া

মেটা এখন হোয়াটসঅ্যাপে “চ্যানেল” ফিচার চালু করেছে। ট্রাভেল, টেকনোলজি, ফিটনেস, রেসিপি বা শিক্ষা বিষয়ক কনটেন্ট তৈরি করে সহজেই একটি চ্যানেল চালু করা যায়। মানসম্মত কনটেন্ট ও পর্যাপ্ত ফলোয়ার থাকলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বিজ্ঞাপন বা স্পনসরশিপের জন্য যোগাযোগ করবে।

৫. প্রশিক্ষণ বিক্রি করে আয়

যদি কারও কোনো বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা থাকে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ভাষা শেখানো, ডিজিটাল মার্কেটিং, ট্রাভেল ব্লগিং বা কুকিং—তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব। ভিডিও লেকচার, পিডিএফ নোটস বা অ্যাসাইনমেন্ট শেয়ার করে সহজেই অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করা যায়। আগ্রহী শিক্ষার্থী বাড়লে মাসিক আয় লাখ ছুঁতে পারে।